Image description

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিং ও নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত উভয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে। পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এছাড়া উভয় কমিটি জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। 

জানা যায়, ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ। পরে দুই কমিটি কয়েক দফায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করে। এতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। এই দুজন ছাড়াও অপর একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে উভয় কমিটি। এছাড়া বাকিদের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় তাদেরকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছি। 

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি৷ 

উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬নং কক্ষে কাফি ও সাগর পরিচয়পর্বের নামে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ডাক দেয়। এরপর খারাপ ভাষায় গালিগালাজ, ভুক্তভোগীকে নানা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করতে বাধ্য করা, বার বার রড দিয়ে আঘাত করা ও জোরপুর্বক ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে টেবিলের উপর দাড় করিয়ে রাখে ওই শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও তাকে নাকে খত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে তারা শারীরিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।